Showing posts with label চিকিৎসা. Show all posts
Showing posts with label চিকিৎসা. Show all posts

Tuesday, June 9, 2020

আপনি যেভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন !!


আল্ হামদু লিল্লাহ্ ওয়াছ্ ছালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্।
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা! আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন। শয়তান মানুষের প্রথম এবং শেষ শত্রু প্রকাশ্য শত্রু। তার কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মাত্রেই প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু অস্ত্র যদি ধারালো না হয় বা সঠিকভাবে নিক্ষিপ্ত না হয় তবে শত্রু লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। তাই শয়তান নামক শত্রু থেকে বাঁচার জন্য মহান ক্ষমতাধর আল্লাহ্ তা‘আলার এলাহী অস্ত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
মনে রাখবেন, এই শয়তান থেকে বাঁচতে হলে মনগড়া রক্ষা-কবচ ব্যবহার করলে হবে না। যেমন তাবীয-কবচ, সুতা, তাগা, রিং প্রভৃতি। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শির্ক। 
যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি তাবীয ব্যবহার করবে সে শির্ক করবে।” (আহমাদ)

আমরা আপনাদের সামনে ইসলামে অনুমোদিত সেই সমস্ত মাধ্যম উল্লেখ করছি যা দ্বারা আপনি শয়তানকে বিতাড়িত ও পরাজিত করতে পারবেন। তার চক্রান্ত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

১)      মহান আল্লাহর উপর শিরক মুক্ত নিখাদ পরিপূর্ণ ঈমান। কেননা বান্দা শিরক করলে শয়তান সবচেয়ে বেশী খুশি হয়। চাই তা বড় শির্ক হোক বা ছোট শিরক। কারণ এতে বান্দার ঈমান নষ্ট হয় তার জন্য জান্নাতের পথ বন্ধ হয়।
২)      একনিষ্ঠ ভাবে তাঁর ইবাদত-দাসত্ব করা। রিয়া বা লোক দেখানোর আমল পরিত্যাগ করা।
৩)      সার্বিক ক্ষেত্রে নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা। পরিপূর্ণরূপে তাঁর অনুসরণ করা। সবধরনের বিদআত থেকে দূরে থাকা। কেননা সাধারণ পাপকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে বিদআতে লিপ্ত হওয়াতে শয়তান বেশী খুশি হয়। কারণ সাধারণ পাপকর্ম থেকে তওবা করা হয় কিন্তু বিদআত থেকে তওবা করা হয়না। তাছাড়া বিদআত পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা‘আলা তার তওবা কবুল করেন না। (ছহীহ্ তারগীব তারহীব)
৪)      পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত যথাসময়ে আদায় করা। বিনয়-নম্রতার সাথে ছালাত সমূহ আদায় করা এবং মসজিদে গিয়ে মুসলমানদের জামাতে শরীক হওয়া।
৫)      ফরয সমাপনান্তে সুন্নত-নফল ছালাত সমূহ অধিকহারে আদায়ের চেষ্টা করা।
৬)      অধিকহারে নফল ছিয়াম আদায় করার চেষ্টা করা। কেননা ছিয়াম শয়তানী প্রবৃত্তিকে দুর্বল করে দেয়।
৭)      সবধরনের নফল ইবাদত বেশী বেশী আদায় করা।
৮)      গোপনে-প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা। 
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর।” (মুসলিম)
৯)      অধিকহারে আল্লাহর জিকির করা। কেননা শয়তান বিতাড়িত করার সর্বোত্তম মাধ্যম হল আল্লাহর জিকির।
১০)    আল্লাহর দরবারে তওবা করা এবং আত্ম সমালোচনা করা।
১১)    আল্লাহর কাছে দু‘আ করা এবং তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করা।
১২)    আল্লাহর দরবারে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা। যে সকল স্থানে শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হয় তা হল: ছালাতে, কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, রেগে গেলে, সকাল-সন্ধ্যায়, নিজগৃহে প্রবেশ করার সময়, দ্বীনের মৌলিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে, স্ত্রী সহবাস করার আগে, ঘুমানের সময়, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে।
১৩)    কুরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা বাক্বারা পাঠ করা।
১৪)    ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা।
১৫)    বেশী ক্রোধান্বিত হলে ওযু করে নিবে। কেননা তা একটি শয়তানী প্রবণতা। শয়তান আগুন থকে সৃষ্টি হয়েছে। আর পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।
১৬)    অধিকহারে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা। ‘লাহওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্’ বেশী বেশী পাঠ করা।
১৭)    নিজ গৃহকে শয়তানকে খুশী করে এমন আসবাব থেকে মুক্ত করা। যেমন বাদ্য-যন্ত্র, ঘণ্টা, কুকুর, ছবি, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য এবং যাবতীয় খেল-তামাশা ও গর্হিত বিষয়-বস্তু থেকে বাড়ীকে মুক্ত ও সংরক্ষণ করা।
১৮)    পরিবার এবং সন্তানদেরকে শরীয়ত সম্মত দু‘আ-যিকর দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে হেফাজত করা। এবং এ ঝাড়-ফুঁক নিয়মমাফিক সবসময় করা। যেমন: আয়াতাল কুরসী, (সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস) প্রভৃতি পাঠ করা।
১৯)    দৃষ্টি অবনত রাখা। পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী যখন সামনে আসে তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে আর যখন ফিরে যায় তখন শয়তানের আকৃতিতে ফিরে যায়।
২০)    পরনারীর সাথে নির্জন না হওয়া। কেননা উক্তাবস্থায় শয়তান তাদের তৃতীয় জন হিসেবে সেখানে বিরাজ করে।
২১)    ইচ্ছাকৃত ভাবে শয়তানী কাজের বিরোধিতা করা। যেমন, ডান হাতে খানা-পিনা করা। কেননা শয়তান বাম হাতে খানা-পিনা করে। ক্বায়লুলা করা অর্থাৎ- যোহরের পর সামান্য সময়ের জন্য নিদ্রা যাওয়া। কেননা শয়তান এরকম নিদ্রা যায় না। অপব্যয় অপচয় না করা। কেননা অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই। প্রতিটি বিষয়ে ধীরস্থীরতা অবলম্বন করা। কেননা তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ এবং ধীরস্থীরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে। সাধ্যানুযায়ী হাই উঠানোকে প্রতিরোধ করা। কেননা হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
২২)    একাকী কোথাও ভ্রমণে না যাওয়া। কেননা একক ভ্রমণকারী শয়তান। দু‘জন ভ্রমণকারী দু‘জন শয়তান এবং তিনজন হচ্ছে ভ্রমণকারী।
২৩)    প্রত্যেক কাজের সময় বিসমিল্লাহ্‌ বলা। কেননা বিসমিল্লাহ্‌ বললে শয়তান ক্ষুদ্র হয়ে যায় এমনকি মাছির মত ছোট্ট হয়ে যায়।
২৪)    দিনে একশবার পাঠ করা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’
২৫)    প্রথম ওয়াক্তে ফজরের নামাজ আদায় করা। কেননা যে ফজর ছালাত আদায় করবে সে আল্লাহর জিম্মাদারির মধ্যে হয়ে যাবে।
২৬)    ছালাত অবস্থায় এদিক-ওদিক না চাওয়া। কেননা ছালাতাবস্থায় এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
২৭)    বিনা প্রয়োজনে নারীর নিজ গৃহ থেকে বাইরে না যাওয়া। কেননা যখন সে বের হয় তখন শয়তান তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং উঁকি দিয়ে দেখে।


সমাপ্ত

লেখক: শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফী
সম্পাদক: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী

Thursday, December 13, 2018

ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ কবচ

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
প্রচারেঃজাহিদ হাসান নিলয়  

ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ-কবচের বিধান

আমাদের দেশে কতক পীর-ফকির, আলেম-জাহেল, কি শিক্ষিত, কি অশিক্ষিত অনেকেই তাবিজ-কবচ, তাগা, কড়ি, সামুক, ঝিনুক ও গাছ-গাছালির শিকর-বাকর ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন এবং ইহা বৈধ ও জায়েজ মনে করেন। এ সম্পর্কে বাজারে কিছু বই পুস্তক পাওয়া যায়, সে সব বইয়ে নির্ধারিত বিষয়ে গ্রহণ যোগ্য কোন দলিল নেই, আছে কিছু মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনী, অসংখ্য তদবিরের বর্ণনা ও তার বানোয়াট ফাজায়েল। এ সব বই পড়ে কেউ কেউ   বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন, রোগ, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি লাভের আশায় বিভিন্ন তদবির ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয় ও তা গ্রহণ করে। তারা এ ধরণের চিকিৎসার মূল্যায়ন ও তার বৈধতা-অবৈধতা সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ। আমি অত্র নিবন্ধের মাধ্যমে এ বিষয়টির তত্ত্ব ও স্বরূপ উদ্ঘাটন এবং ইসলামের দৃষ্টিতে তার হুকুম বর্ণনার প্রয়াস পেয়েছি।
এক. সাহাবি ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত : একদা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে তামার চুড়ি দেখে বললেন, এটা কি? সে বলল: এটা অহেনার অংশ। {অহেনার অর্থ এক প্রকার হাড়, যা থেকে কেটে ছোট ছোট তাবিজ আকারে দেয়া হয়।} তিনি বললেন: এটা খুলে ফেল, কারণ এটা তোমার দূর্বলতা বাড়ানো ভিন্ন কিছুই করবে না। যদি এটা বাঁধা অবস্থায় তোমার মৃত্যু হয়, তবে কখনও তুমি সফল হবে না। ( সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস নং ৩৫৩১; হাদিসটি সহিহ্)
দুই. উকবা বিন আমের রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি তাবিজ লটকালো, আল্লাহ তাকে পূর্ণতা দেবেন না, আর যে কড়ি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তাকে মঙ্গল দান করবেন না।’ [মুসনাদআহমদ, হাদীস নং ১৬৯৫১; আহাইখ আলবানী হাদীসটিকে দাইফ বলেছেন]
তিন. উকবা বিন আমের আল-জোহানি রাদিআল্লাহু আনহু বলেন : ‘একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে একদল লোক উপস্থিত হল। তিনি দলটির নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তার সাথে তাবিজ রয়েছে। অতঃপর তিনি স্বহস্তে তা ছিড়ে ফেললেন এবং তাকে বায়আত করলেন, আর বললেন, যে ব্যক্তি তাবিজ ব্যবহার করল সে শিরক করল।’ [মুসনাদে আহমেদ; হাদীস নং ১৬৯৬৯, শাইখ আলবানীর মতে এই হাদীসটি সহীহ]
চার. একদা হুজায়ফা রাদিআল্লাহু আনহু এক ব্যক্তির হাতে জ্বরের একটি তাগা দেখতে পেয়ে তা কেটে ফেলেন। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন : তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তবে শিরক করা অবস্থায়।‘ {ইউসুফ : ১০৬} [তাফসিরে ইবনে কাসির]। এ থেকে প্রমাণিত হয়, সাহাবি হুজায়ফার মতে তাগা ব্যবহার করা শিরক।
পাঁচ. তাবেয়ি আব্দুল্লাহ বিন উকাইম সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন কিছু ধারণ করবে, তাকে ঐ জিনিসের কাছেই সোপর্দ করা হবে।’ [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৪০৭৯; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২০৭২]
ছয়. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহর স্ত্রী জয়নব রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদিন আব্দুল্লাহ বাড়িতে এসে আমার গলায় তাগা দেখতে পান। তিনি বললেন, এটা কী? আমি বললাম, এটা পড়া তাগা। এতে আমার জন্য ঝাঁড়-ফুঁক দেয়া হয়েছে। তা নিয়ে তিনি কেটে ফেললেন এবং বললেন, আব্দুল্লাহর পরিবার শিরক থেকে মুক্ত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ঝাড়-ফুঁক, সাধারণ তাবিজ ও ভালোবাসা সৃষ্টির তাবিজ ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শিরক।[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৮৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৫৩০]
এ সব দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, তাবিজ ব্যবহার করা হারাম ও শিরক।

তাবিজ ইত্যাদি ব্যবহার করা ছোট শিরক না বড় শিরক?

কেউ যদি তাবিজ-কবচ, মাদুলি-কড়ি, সামুক-ঝিনুক, গিড়া, হাঁড়, তাগা-তামা-লোহা বা অনুরূপ কোন ধাতব বস্তু গলায় বা শরীরের কোথায়ও ধারণ করে এবং এ ধারণা পোষণ করে যে, ঐ গুলো বালা-মুসিবত দূর করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ক্ষমতা রাখে, তবে তা বড় শিরক। আর যদি এ ধরনের ধারণা না হয়, তবে তা ছোট শিরক।
শায়খ সুলাইমান বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, বালা-মুসিবত দূর করার উদ্দেশ্যে গিড়া, তাগা পরিধান করা ছোট শিরক। অর্থাৎ যদি তা মাধ্যম বা উসিলা মনে করে ব্যবহার করা হয়। শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ বলেছেন, শয়তানের নাম, হাড়, পূঁতি, পেরেক অথবা তিলিস্মা অর্থাৎ অর্থবিহীন বিদঘুটে  শব্দ বা অক্ষর প্রভৃতি বস্তু দিয়ে তাবিজ বানানো ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ফাতহুল মাজিদ গ্রন্থের টীকায় তিনি আরো বলেছেন: তাবিজ ব্যবহার করা জাহেলি যুগের আমল। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাবিজ-কবচ অনেক ধর্মের প্রতিকি চিহ্ন ছিল। যেমন হিন্দু পুরোহিতদের মাদুলী ধারণ করা, বিশেষ করে কালী শিবের পূজায়। উয়ারী সম্প্রদায়ের আকীদার অন্যতম প্রতিক ছিল বিভিন্ন ধরণের তাবিজ।
শায়খ হাফেজ হেকমি বলেন: ‌’কুরআন ও হাদিস ব্যতীত, ইহুদিদের তিলিসমাতি, মূর্তি পূজারী, নক্ষত্র পূজারী, ফেরেশতা পূজারী এবং জিনের খিদমত গ্রহণকারী বাতিল পন্থীদের তাবিজ ব্যবহার; অনুরূপভাবে পূঁতি, ধনুকের ছিলা, তাগা এবং লোহার ধাতব চুড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শিরক। কারণ, এগুলো সমস্যা সমাধানের বৈধ উপায় কিংবা বিজ্ঞান সম্মত ঔষধ নয়। এ হল সেসব তাবিজ কবচের হুকুম যাতে কুরাআনের আয়াত, হাদিসের দোয়া দরুদ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না তার

কুরআন-হাদিসের তাবিজ :

হ্যাঁ, যে সব তাবিজ-কবচে কুরআন হাদিস ব্যবহার করা হয় সে ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। এক শ্রেণীর আলেম কুরআন-হাদিসে বর্ণিত দুআ সমূহের তাবিজ ব্যবহার করা বৈধ মনে করেন। যেমন, সাঈদ বিন মুসাইয়িব, আতা আবু জাফর আল-বাকের, ইমাম মালেক। এক বর্ণনা মতে ইমাম আহমদ, ইবনে আব্দুল বার, বাইহাকি, কুরতুবি, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাইয়িম এবং ইবনে হাজারও রয়েছেন। তাদের দলিল, আল্লাহ তাআলা বলেন, আর আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করেছি যা রোগের সু-চিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত।‘ [সূরা আল-ইসরা:৮২]  এক কল্যাণময় কিতাব, ইহা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি।” [সূরা আস-সাদ:২৯] সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমরের ব্যক্তিগত আমল সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি নিজ ছোট বাচ্চা, যারা দোয়া মুখস্থ করতে অক্ষম, তাদেরকে অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য গায়ে দোয়ার তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন। দোয়াটি এই:‘আল্লাহর নামে তাঁর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তাঁর গজব ও শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে এবং শয়তানদের কুমন্ত্রণা ও তাদের উপস্থিতি থেকে।’ [ মুসনাদে আহমেদ, হাদীস নংঃ৬৬৯৬; সুনানে তিরিমিজী, হাদীস নং ৩৫২৮; হাদিসটি হাসান]
পক্ষান্তরে অধিকাংশ সাহাবি ও তাদের অনুসারীদের মতে কুরআন ও হাদিসের তাবিজ ব্যবহার করাও নাজায়েজ। তাদের মধ্যে রয়েছেন: আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ, ইবনে আব্বাস, হুযাইফা, উকবা বিন আমের, ইবনে উকাইম, ইব্রাহিম নখয়ি, একটি বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ, ইবনুল আরাবি, শায়খ আব্দুর রহমান বিন হাসান, শায়খ সুলাইমান বিন আব্দুল ওয়াহহাব, শায়খ আব্দুর রহমান বিন সাদি, হাফেজ আল-হেকমি এবং মুহাম্মদ হামিদ আলফাকি। আর সমসাময়ীক মনীষীদের মধ্যে আছেন শায়খ আলবানি ও শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ। তারা বলেন,
প্রথমত: উল্লেখিত আয়াত দ্বারা তাবিজের বৈধতা প্রমাণিত হয় না। উপরন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের দ্বারা চিকিৎসা করার স্বরূপ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আর তা হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। এ ছাড়া কুরআনের আয়াত তাবিজ আকারে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন প্রমাণ নেই, এমনকি সাহাবাদের থেকেও।
তা ছাড়া ইমাম আবু দাউদ বলেছেন, সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমেরের বর্ণিত হাদিসের সূত্র (সনদ) হাদিস বিশারদদের নিকট বিশুদ্ধ নয়। আর শুদ্ধ হলেও এটা তার একার আমল, যা অসংখ্য সাহাবির বিপরীত হওয়ার ফলে এবং এর স্বপক্ষে কোন দলিল না থাকার কারণে অন্য সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আরেকটি কারণ, যেসব দলিলের মাধ্যমে তাবিজ নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়েছে, সেসব দলিলে পৃথক করে কুরআন-হাদিসের তাবিজ বৈধ বলা হয়নি। যদি বৈধ হত, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তা বলে দিতেন। যেমন তিনি শিরক মুক্ত ঝাড়-ফুকের ব্যাপারটি অনুমতি দিয়েছেন। মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের ঝাড়-ফুঁক আমার কাছে পেশ কর, ওটা শিরকের আওতাধীন না হলে তাতে কোন বাধা নেই।’[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২০০]
পক্ষান্তরে তিনি তাবিজ সম্পর্কে এরূপ কিছু বলেননি।
দ্বিতীয়ত: সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ছাত্র ইব্রাহিম নখয়ি বলেন, তারা অর্থাৎ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের সঙ্গী-সাথী ও শিষ্যগণ কুরআন বা কুরআনের বাইরের সব ধরণের তাবিজ অপছন্দ করতেন। যেমন আলকামা, আসওয়াদ, আবু ওয়ায়েল, হারেস বিন সোয়ায়েদ, ওবায়দা সালমানি, মাসরুক, রাবি বিন খায়সাম এবং সোয়ায়েদ বিন গাফলাহ প্রমুখ তাবেয়িগণ। [ফতহুল মজিদ]
তৃতীয়ত: অবৈধ পন্থার পথ রুদ্ধ করার জন্য শরিয়ত অনেক বৈধ কাজও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সে হিসেবে নিষিদ্ধ তাবিজ থেকে উম্মতকে হিফাজত করার লক্ষ্যে বৈধ তাবিজও নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ এ পথ খোলা রাখলে বাতিল তাবিজপন্থীরা সাধারণ মানুষের মন আল্লাহর ওপর ভরসা থেকে বিমুখ করে, তাদের লিখিত তাবিজের প্রতি আকৃষ্ট করে ফেলার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, ঐ সব শয়তানদের প্ররোচনার কারণে কতক সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আর তারা মানুষের আসক্তি দেখে তাদের সহায়-সম্পদ লুটে নেয়ার ফন্দি আটে। যেমন, তাদেরকে বলে, তোমাদের পরিবারে, ধন সম্পত্তিতে বা তোমার ওপর এরূপ বিপদ আসবে। অথবা বলে, তোমার পিছনে জিন লেগে আছে ইত্যাদি। এভাবে এমন কতগুলো শয়তানি কথা-বার্তা তুলে ধরে যা শুনে সে মনে করে, এ লোক ঠিকই বলছে। সে যথেষ্ট দয়াবান বলেই আমার উপকার করতে চায়। এভাবেই সরলমনা মূর্খ লোকেরা তাদের কথায় বিশ্বাস করে ও অতঃপর ভয়ে অস্থির হয়ে যায়, আর তার কাছে সমাধান তলব করে। তাই তাবিজ কুরআন-হাদিসের হলেও ব্যবহার করা, রুগির বালিশের নীচে রাখা বা দেয়ালে ঝোলানো নাজায়েজ বলাই অধিকতর শ্রেয়।
একটি সংশয়: অনেকে বলে থাকেন, তাবিজ, কবচ ইত্যাদি আমরা দোয়া-দরুদ ও প্রাকৃতিক ঔষধের ন্যায় ব্যবহার করি। যদি তার অনুমোদন থাকে তবে তাবিজ কবচ নিষিদ্ধ কেন?
এর উত্তর হচ্ছে: অসুখ-বিসুখ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার পদ্ধতি দুইটি :
এক. যা সরাসরি কুরআনের আয়াত বা রাসূলের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। একে শরিয়তি উপায় বা চিকিৎসা (রুকিয়া) বলা যেতে পারে। যেমন ঝাঁড় ফুক ইত্যাদি, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করে দেখিয়েছেন এবং যার বর্ণনা হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে। এ গুলো আল্লাহর ইচ্ছায় বান্দার মঙ্গল সাধন বা অমঙ্গল দূর করে।
দুই. প্রাকৃতিক চিকিৎসা অর্থাৎ বস্তু ও তার প্রভাবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক, যা খুবই স্পষ্ট এমনকি মানুষ সেটা বাস্তবে অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারে। যেমন: বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা ঔষধ। ইসলামি শরিয়ত এগুলো ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। কারণ, এগুলো ব্যবহার করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, যিনি এ সব জিনিসে নির্দিষ্ট গুণাবলি দান করেছেন এবং তিনি ইচ্ছা করলে যে কোন সময় এসব বস্তুর গুন ও ক্রিয়া বাতিল করে দিতে পারেন। যেমন তিনি বাতিল করেছিলেন ইব্রাহিমের আলাইহিস সালামের জন্য প্রজ্বলিত অগ্নির দাহন ক্রিয়া। কিন্তু তাবিজ ইত্যাদির মধ্যে আদৌ কোন ফলদায়ক প্রভাব নেই এবং তা কোন অমঙ্গল দূর করতে পারে না। এতে জড় বস্তুর কোন প্রভাবও নেই। তাছাড়া, মহান আল্লাহ এগুলোকে কোন শরয়ি মাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেননি। মানুষও স্বাভাবিকভাবে এগুলোর কোন প্রভাব প্রতিক্রিয়া দেখে না, অনুভবও করতে পারে না। এ জন্য অনেকে বলেছেন, এগুলোর ওপর ভরসা করা, মুশরিকদের ন্যায় মৃত ব্যক্তি ও মূর্তির ওপর ভরসা করার সমতুল্য; যারা শুনে না, দেখে না, কোন উপকারও করতে পারে না, আর না পারে কোন ক্ষতি করতে। কিন্তু তারা মনে করে, এগুলো আল্লাহর কাছ থেকে তাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে, অথবা অমঙ্গল প্রতিহত করবে। আল্লাহ বলেন, ” বল রহমানের শাস্তি থেকে কে তোমাদের রক্ষা করবে দিনে ও রাতে? বরং তারা তাদের পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।”[সূরা আল-আম্বিয়াঃ৪২]
উদাত্ত আহব্বান: এখনো যে সব আলেম-ওলামা তাবিজ-কবচ নিয়ে ব্যস্ত তাদের দরবারে আমাদের সবিনয় অনুরোধ, এর থেকে বিরত থাকুন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ, সাধারণ মানুষ খুব সহজেই টি্ভি চ্যানেল, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছে যে, তাবিজ-কবচ বৈধ নয় বা ইসলামে এর কোন স্বীকৃতিও নেই। এমতাবস্থায় যারা তাবিজ-কবচ করেন বা বৈধ বলেন তাদের ব্যাপারে তারা বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হন। আল-হামদু লিল্লাহ, বর্তমান সময়ে আরবি শিক্ষিত ও সাধারণ শিক্ষিত অনেক ব্যক্তি, বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম তাবিজ-কবজের অসারতা বুঝতে পেরে এর বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। নিজে রিবত থাকছেন এবং অপরকে বিরত থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। যেহেতু এটা আকীদার বিষয়, তাই এখানে শিথিলতার কোন সুযোগ নেই। অতএব, এ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। আল্লাহ সহায়।
সমাপ্ত

Saturday, October 27, 2018

যয়তুন তেল (জলপাই-Olive Oil) এর নানাবিধ উপকারিতা:

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
প্রচারেঃজাহিদ হাসান নিলয়

যয়তুন তেল (জলপাই-Olive Oil) এর নানাবিধ উপকারিতা:

যায়তুন একটি বরকতয় ফল। কেননা, আল্লাহ তাআলা সূরা তীন এ যায়তুন এর কসম খেয়েছেন। আল্লার রাসূল সা. এর তেল খেতে ও মালিশ করতে বলেছেন। তিনি বলেন: তোমরা যায়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখ। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে।” (তিরমিযী, আহমদ, ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন)
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো (আল্লাহর অনুগ্রহে) আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে।

গবেষকরা দেখিয়েছেন:

  • খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় ।
  • জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো।
  • শরীরের এসিড কমায়
  • যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়।
  • কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।
  • সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না। এটা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার।
  • জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো প্রতিরোধ হয় ।
  • গবেষকরা ২.৫ কোটি (25 million) লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন ২ চামচ কুমারী জলপাই তেল (Virgin Olive Oil) ১ সপ্তাহ ধরে খেলে ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল (HDL) কোলেস্টেরল বাড়ায়।
  • স্প্যানিশ (Spanish) গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়।
  • আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে।
  • গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়।
  • মেয়েদের রূপ বর্ধনের জন্য এটা অনেকটা কার্যকর।
  • ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেলে খাওয়া এবং ব্যাবহারের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রসূল (স.) বলেছেন, *“তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।“* [হযরত আবু হুরাইরা (রদ্বি.) হতে তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণনা করছেন । ইবনে মাজাহ্-এ হাদিস নং ৩৩২০ । সনদ সহীহ্]।
  • জলপাই তেল যে কোষ্ঠ কাঠিন্য কমে, তা ইবনুল কাইয়্যূম তার “The Medicine of the Prophet (sm.)” বইয়ে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন ।

বাজারে কয়েক ধরনের জলপাইয়ের তেল পাওয়া যায়। যেমন:

▪১। Extra virgin – এটা প্রথম ধাপ। সরাসরি জলপাই ফল থেকে তৈরি। এসিডেটি ১% এর নিচে। রান্নার জন্য বা সালাদে গবেষকরা এটা প্রস্তাব করেন।
▪
২। Virgin – Extra virgin পরের ধাপ এটা। এতে এসিডের পরিমাণ ১ থেকে ২% থাকে।
▪
৩। Refine Pure – ৩য় ধাপ। এতে এসিডের পরিমাণ ৩% থেকে ৪
সূত্র: https://bn.wikipedia.org/…/%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A…
(সামান্য পরিবর্তিত)
Copy from Quraner alo

Monday, September 10, 2018

বই – যাদু ও তার প্রতিকার

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

যাদু ও তার প্রতিকার বিষয়ক বাংলা ভাষায় একমাত্র বই

যাদু অত্যন্ত বড় কবীরা গুনাহ যা মানুষকে শিরকের দিকে ধাবিত করে এবং ঈমান ধ্বংস করে দেয়। বর্তমান যুগে রোগ-ব্যাধি ও পাপ ব্যাপকতা যেমন লাভ করেছে তেমনি এগুলোর সাথে সাথে জাদুর ব্যাপকতা লাভ করেছে। সমাজের আনাচে কানাচে এর ব্যবহার অত্যন্ত মারাত্বকভাবে প্রসার লাভ করেছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শাইখ ওয়াহিদ বিন আব্দুস সালাম বালীর রচিত ‘যাদুকর ও জ্যোতিষির গলায় ধারালো তরবারী’ বইটিতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছেঃ
  • যাদুর পরিচয়।
  • যাদুর প্রমান।
  • যাদুর প্রকারভেদ।
  • যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতি।
  • ইসলামে যাদুর হুকুম।
  • কেরামত, মু’জেযা ও যাদুর মধ্যে পার্থক্য।
  • একটি সংশয় ও তার নিরাসন।
  • কোন কোন পদ্ধতিতে যাদু করা হয়।
  • যাদু দিয়ে মানুষের কি কি ক্ষতি করা যায়।
  • যাদুর প্রতিকার বিবরণ সহ
আরো অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। যাদু, জ্যোতিষি ও গনকগিরি শয়তানী কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। ঈমান-আকয়দা নষ্টকারী বিষয়। কেননা এগুলো শিরক ও কুফুরীর মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এজন্য শরীয়ত শিরকের সাথে সাথে যাদু থেকেও সতর্ক করে। এই গুরুত্ত্বপুর্ণ বিষয়টি জানতে বইটি ডাউনলোড করুন, পড়ুন এবং আপনার বন্ধু/আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৫২

দাওয়াতি কাজ সকল মুসলিমের জন্য ফরজ এবং সাধারণ মানুষদের দাওয়াতি কাজের কতিপয় পদ্ধতি

  ▬▬▬✪✪✪▬▬▬ প্রশ্ন: সৎকাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ কি সবার উপরে ফরজ? যাদের দ্বীনের জ্ঞান নেই যেমন জেনারেল লাইনে পড়া মানুষ কিন্তু দ্বীন জানার...